বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় সদর উপজেলার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিযানটি পরিচালনা করেন। স্থানীয়দের দাবি, সংঘবদ্ধ একটি চক্র চালগুলো কালোবাজারের বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুত করেছিল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির মধ্যে শোবার ঘরের মেঝেতে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ২০০ বস্তায় ১০ হাজার কেজি সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে সটকে পড়েন বাড়ির মালিক সালেক উদ্দিন। উদ্ধার হওয়া চালের বস্তা দেখতে ভিড় করেন শতশত গ্রামবাসী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সদরের লাহেড়িপাড়া রহমতবালা গ্রামে সালেকের বাড়ি থেকে মজুত করা সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২০০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে ১০ হাজার কেজি চাল রাখা ছিল। অসাধু কয়েকজন ব্যক্তি স্বল্প দামে কার্ডধারীদের থেকে চালগুলো কিনে বাজারে চড়া দামে বিক্রি করে আসছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ চন্দ্র সরকার বলেন, অভিযানের সময় বাড়ির মালিক সালেক উপস্থিত না থানায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত করে ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।