শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহতের স্ত্রী মোসাম্মৎ আদুরী খাতুন বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অন্যান্য আসামিদের মধ্যে সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, সাবেক এমপি শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, জাতীয় শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা কাউসার আহাম্মেদ পলাশের নাম রয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী মোসাম্মৎ আদুরী খাতুন এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে সন্ধ্যা ছয়টার সময় আসামিরা নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় ছাত্র জনতার উপর ককটেল বিস্ফোরণ করে ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় তারা নিজেদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা এলোপাতাড়ি গুলি ও মারধর করেন। আসামিরা হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি যারা এলোপাতাড়ি আঘাত করলে তার স্বামী গার্মেন্টস শ্রমিক বদিউজ্জামান গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় আসামিরা বদিউজ্জামানের ব্যবহৃত ১৮ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোনটিও লুট করে নিয়ে যায় বলে মামলায় বাদী অভিযোগ করেন। পরে বদিউজ্জামানকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।