সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ১৮ সেপ্টেম্বর দীঘিনালায় সংঘর্ষের ঘটনায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতি হয়। যার ফলে দীঘিনালাসহ বাঘাইড়ি উপজেলা বিদ্যুতের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। মূলত বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার সাজেকে পর্যটক বেশি যাবে না এমন ভাবনা থেকে ব্যবসায়ী খাবার মজুত করে নি। তবে সেখানে সবজি আছে। তা দিয়ে আপাতত চলা যাবে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। আর জ্বালানি সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সহায়তা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ‘এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৫শ পর্যটক সেখানে আটকা আছে। অবরোধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত গাড়ি ছাড়া নিরাপদ হবে না। এর মধ্যে যাদের আর্থিক অবস্থাসম্পন্ন ২০/২৫ জন পর্যটন মিলে গতকাল ও আজ ৫টি বেসরকারি হেলিক্যাপ্টারে সাজেক ছেড়েছেন।
পর্যটক আল-আমিন বলেন, ‘তিন দিন ধরে খাবার পানি সংকটের মধ্যে আছি। গত দুই দিন ধরে বিদ্যুৎ নাই, নেটওয়ার্কও নাই। এখানে অকটেনের মাধ্যমে যে জেনারেটর চলবে তারও জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে। হোটেলে খাবার নাই। জীবন বাঁচাতে আমরা ঝরনার পানি খেয়ে বেঁচে আছি। খুব ভয়াবহ অবস্থাতে আছি। এ মুহূর্তে আমাদের একটাই চাওয়া সুস্থভাবে বাসায় ফিরে যাওয়া।’
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন দেব বর্মন বলেন, ‘খাবার ও পানি সংকট সমাধানে আমরা কাজ করছি। সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে। আশা করি দ্রুতই সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’