
জাতীয় গ্রিডে ত্রুটির কারণে ঢাকা বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলাসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সবকটি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটে জাতীয় গ্রিডে সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে সন্ধ্যা নামতেই অন্ধকারে ছেয়ে যায় দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ২১ জেলা।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হায়দার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের আমিন বাজারে ন্যাশনাল গ্রিডে সমস্যা হওয়ায় এ ব্ল্যাকআউট হয়। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে এবং বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে। তবে পুরোপুরি সমাধান হতে আরও কিছু সময় লাগবে। কাজ চলমান আছে। খুব শিগগির স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে।
তিনি আরও বলেন, খুলনা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয় ৫টা ৪৮ মিনিটে। এর দুই ঘণ্টা পর ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। তবে সব জেলায় এখনো পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হয়নি।
পদ্মা সেতুর নাম ‘শেরেবাংলা সেতু’ রাখার দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বরিশাল বিভাগ সমিতির উদ্যোগে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভায় বক্তারা এ দাবি জানান।
পদ্মা সেতুর নামকরণ ‘শেরেবাংলা সেতু’ করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, ভাঙ্গা-বরিশাল-কুয়াকাটা সড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করতে হবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের মানুষ যত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে সব কিছুর পেছনে প্রথম অবদান শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের।
তার এই অবদান বিস্তৃত ছিল প্রতিটি শোষিত-বঞ্চিত মানুষের হৃদয়ে। শেরেবাংলার স্থান ছিল প্রতিটি মানুষের বুকের বাঁ পাঁজরে। সেই কারণেই মৃত্যুর ৬৩ বছর পরও আমরা তাকে স্মরণ করছি।’
তিনি বলেন, ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন উপমহাদেশের একজন দূরদর্শী, প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ।
বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়া জেলাগুলো হলো- খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা।