শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালের এ ঘটনায় দুর্গাপূজার আনন্দ বিষাদে রূপ নিয়েছে পরিবারটির। আর অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দুর্গাপূজার আনন্দ নিমিষেই রূপ নিল বিষাদে। মা-মেয়ের আহাজারিতে ভারি চারপাশ। ময়মনসিংহ সদরের রঘুরামপুরে নিজ বাড়ির সামনেই শিকার হলেন স্বপন ভদ্র নামে এক বৃদ্ধ।
স্বজন ও স্থানীদের অভিযোগ, মাদক সেবনের বিরোধিতা করায় শনিবার সকালে স্বপন ভদ্রকে বাড়ির বাইরে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন সাগর নাম এক যুবক। এ সময় সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন।
নিহত ব্যক্তির ভাতিজা জুয়েল ভদ্র বলেন, ‘শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নিজ বাসার সামনে বসে ছিলেন চাচা স্বপন ভদ্র। ওই সময় তাকে মাথায় এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। পরে আমার চাচি সবিতা ধরের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
নিহত স্বপন কুমার ভদ্রের ভাগনে মানিক সরকার বলেন, ‘মাদক নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করার কারণে আমার মামাকে হত্যা করা হয়েছে। কেন লেখালেখি করেন, সে জন্যই রাগ ছিল। এ কারণে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আজিজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ঘাতক সাগর বখাটে ও সন্ত্রাসী। সে হত্যাকারী, এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সাগরের কর্মকাণ্ড নিয়ে আগেও প্রতিবাদ করেছিল স্বপন ভদ্র। একবার স্বপন ভদ্রের হাতে আঘাত করেছিলেন সাগর। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত স্বপন তারাকান্দা প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি। তিনি আগে ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্বজন পত্রিকায় তারাকান্দা উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। বর্তমানে তিনি কোনো গণমাধ্যমে কর্মরত ছিলেন না। তবে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এলাকার বিভিন্ন ঘটনা ও বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করতেন। স্বপন কুমার ভদ্রের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। ছোট ছেলে রনি ভদ্র সেনাবাহিনীতে কর্মরত।