

কক্সবাজারের নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে জাহাজ ‘দ্য আটলান্টিক ক্রুজ’ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। মৃত নুর কামাল (৩৫) ওই জাহাজের কর্মচারী ছিলেন এবং অগ্নিকাণ্ডের সময় একটি কক্ষে তিনি ঘুমন্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে রক্ষা পেয়েছেন যাত্রার জন্য ঘাটে অপেক্ষারত ১৯৪ জন পর্যটক।
শনিবার ভোর ৬টার দিকে যাত্রী পরিবহনের জন্য ঘাটে নোঙর করার সময় জাহাজটিতে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এই প্রতিবেদন লেখার সময় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখনো অগ্নি নির্বাপণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও কোস্টগার্ডসহ প্রশাসনের স্বেচ্ছাসেবক টিম।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মোরশেদ হোসেন বলেন, জাহাজের এক কর্মচারীর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যিনি একটি কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন। আর কেউ আছেন কিনা খোঁজা হচ্ছে, আগুন লাগার কারণ এখনো নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।
সি ক্রুজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, ১৯৪ জন পর্যটক শনিবার এই জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যাওয়ার কথা ছিল। সৌভাগ্যবশত কেউ জাহাজে উঠেননি, ঘাটে অপেক্ষা করছিলেন। যাত্রীদের একটি অংশকে অন্য জাহাজে করে ধারণ ক্ষমতা অনুপাতে সেন্টমার্টিনে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের রবিবার পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো সেন্টমার্টিন যেতে পর্যটক তোলার জন্য ঘাটে আসছিল দ্য আটলান্টিক ক্রুজ জাহাজটি। হঠাৎ জাহাজের ভেতর থেকে ধোঁয়া উঠছিল।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিলা তাসনিম বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণ কিংবা অন্য কোন কারণে আগুন লেগেছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘাটে আসেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আ. মান্নান। তিনি জানান, জাহাজে আগুন লাগার কারণ জানতে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিকেলে জাহাজ মালিকদের সঙ্গে সভার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিন-কক্সবাজার রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়। ১২টি নির্দেশনা মেনে প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক পরিবহনের জন্য ৬টি জাহাজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেয়েছে।