সাকিব আল হাসান
ক্রীড়াঙ্গনের কেউ হয়তো এমনটা আঁচও করতে পারেননি। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) হুট করেই সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব জানালেন, টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন তিনি। জানিয়েছেন ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথাও। সংবাদ সম্মেলনে অন্য অনেক বিষয়ের মতো উঠে এসেছে সাকিবের শেয়ারবাজার কারসাজি আর হত্যা মামলার প্রসঙ্গও।
ক্রিকেটার হিসেবে সফল সাকিব রাজনীতির ময়দানে শুরুতেই বড় ধাক্কা খেয়েছেন। সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে মাত্র ৭ মাসের মাথায় সেই সরকারের পতন হওয়ায় বিপাকে সাকিব। মাঠের এই তারকার নামে হত্যা মামলাসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া গণ-অভ্যুত্থানের সময় জনগণের পাশে না থাকায় সাকিবকে নিয়ে জনমনে রোষানলও তৈরি হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দেশের বাইরে ছিলেন সাকিব। তবে এই আন্দোলনে নিহত এক গার্মেন্টসকর্মীর মৃত্যুতে আসামী করা হয়েছে সাকিবকে। এই মামলা নিয়ে সাকিব বলেন, ‘একটা মামলা হয়েছে, সবারই অধিকার আছে। বাট আপনারা সবাই জানেন এটা কেমন ধরণের কেইস ছিল। আমি ওই সময় কোথায় ছিলাম। আমার কাজ কী ছিল কিংবা আমি কী করছিলাম। সো এই বিষয়টা নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে চাই না।’
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে সম্প্রতি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে সাকিবকে। এই বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন সাকিব। এ ধরনের অভিযোগকে সরাসরি মিথ্যা অভিযোগ বলে অবহিত করেছেন তারকা এই ক্রিকেটার।c
এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমার লাইফে আমি নিজে থেকে কোনো ট্রেড করিনি। কেউ যদি এটা বলে আমি ট্রেডিংয়ে কথা বলেছি, আমাকে প্রমাণ দিলে আমি খুশি হবো। এই সবগুলোয় এখন যে কেউ যার যার মতো করতেই পারে। তবে বিষয়গুলো যদি একটু সুন্দরভাবে করতো, আমার জন্য হয়ত ভালো হতো। আমার জন্য মানসিকভাবে মানিয়ে নিতে সহজ হতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘মিথ্যে অভিযোগগুলো আমার মনে হয় না খুব একটা ভালো দিক বহন করে আমাদের দেশের জন্য বা বাইরের জন্য। কারণ বাইরের মানুষগুলো যখন কথা বলবে তখন আমার মনে হয় না জিনিসগুলো ভালো দেখাবে। আমার লাইফে যখন আমি কোনো ট্রেডই করিনি নিজ থেকে, তাই স্বাভাবিকভাবেই আমার ভুল করা বা যেসব শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে সেসবও কতটা যথার্থ, তা (চিন্তা করা) আমার জন্য দুঃখজনক।’