
টাঙ্গাইলে মাছ ব্যাবসায়ীকে কিলার গ্যাংয়ের প্যাডে (হত্যাকারী দল) একটি চিঠি দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় বিএনপির ৩ নেতাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২ আগস্ট) ভোর ও শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার সন্তোষ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শহর বিএনপির ৮ নং ওয়ার্ডের সভাপতি গোলাম রাব্বানী, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মিয়া, ৭ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাব্বির মিয়া।
শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইজাজুল হক সবুজ জানান, বিএনপির নেতা কর্মীদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার পৌর এলাকায় সন্তোষে মাছ ব্যাবসায়ী মো.আজাহারুল ইসলামের কর্মচারীর হাতে অচেনা একজন একটি চিঠি দিয়ে আসে। সেই চিঠি শুক্রবার সকালে সেই কর্মচারি ব্যাবসায়ী মো.আজাহারুল ইসলামকে দেয়। চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় ব্যাবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যে চিঠি পাওয়ার পর তুই যদি বিষয়টি নিয়ে কারো সাথে শেয়ার করস বা আইনি প্রক্রিয়ায় যাস তাহলে তোকে কবর দেয়ার জন্য তোর লাশ পরিবার খুঁজে না পাওয়ার ব্যবস্থা আমরা করবো। চিঠিতে আরো উল্লেখ থাকে মনে রাখবি প্রশাসন তোর সঙ্গে সব সময় থাকবে না। আর বাচঁতে পারবি না। তোর সঠিক বুদ্ধিমত্তার সিদ্ধান্ত তুইসহ তোর পরিবার সুরক্ষিত থাকবে।
এছাড়াও চিঠিতে লেখা আছে যে দীর্ঘদিন ধরে মাছ ব্যাবসা করে যাচ্ছিস। এতে তোর কোন প্রতিদ্বন্দ্বি নাই।দাকিকৃত ৫ লাখ টাকা তোর কাছে কিছু না। তাই আগামী আগস্টের ৩ তারিখে রোববার সন্ধা ৭ টার সময় একটি শপিং ব্যাগে করে কাগমারী মাহমুদুল হাসানের বাসার সামনে একটি গাছে ফরহাদের ছবি লাগানো আছে সেই গাছের নিচে রেখে যাবি।