খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকে শেষ দিনের অবরোধ কর্মসূচি চলছে আজ। এর আগে পাহাড়িদের ওপর হামলা, ঘরবাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের ঘোষণা দেন। টানা অবরোধে স্থবির হয়ে পড়েছে পাহাড়ের জনজীবন।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) অবরোধের তৃতীয় দিন সকালে খাগড়াছড়ি সাজেক সড়ক, পানছড়ি, রামগড় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন অবরোধকারীরা। তবে অবরোধকে কেন্দ্র করে এখনও কোথাও কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
অবরোধে তৃতীয় দিনেও খাগড়াছড়ির সাথে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ সারাদেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। শহরকেন্দ্রিক টমটম ও অটোরিকশা চলাচল করলেও বন্ধ রয়েছে আভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ।
এদিকে জুম্ম ছাত্র-জনতা তিন পার্বত্য জেলায় (খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান) আহুত ৭২ ঘণ্টা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে কর্মসূচি সফল করতে নেতাকর্মী, সমর্থকসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ।
মাটিরাঙ্গা থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, অবরোধকে কেন্দ্র করে যে কোন ধরনের সহিংসতা এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অবরোধে সহিংসতা এড়াতে সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে অবরোধের কারণে সাজেকে আটকেপড়া পর্যটকদের এখনো ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। সেখানে এক হাজার পাঁচশ পর্যটক আটকে আছেন।
প্রসঙ্গত, গেল বুধবার জেলার নিউজিল্যান্ড এলাকায় গণপিটুনিতে মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি লারমা স্কয়ারের দিকে যাওয়ার সময় পাহাড়িরা বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে লারমা স্কয়ারে দোকানপাট ও বসত বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে পুড়ে যায় অন্তত ৫০-৬০টি দোকান। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়।