গণঅভ্যুত্থানের পর পুলিশের লুণ্ঠিত ৫ হাজার অস্ত্রের মধ্যে এখনও দেড় হাজার অস্ত্রের হদিস পাওয়া যায়নি। লুট হওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে আধিপত্য বিস্তার এবং বিভিন্ন জায়গায় নানা অপরাধ ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীর মোহাম্মদুপুর থানা থেকে ৫ আগস্ট রাতে যে অস্ত্র লুট হয়, তার বেশকিছু এখন ব্যবহৃত হচ্ছে জেনেভা ক্যাম্পে।
জানা গেছে, সরকার পতনের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে গোলাগুলি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে। ৫ আগস্টের পর এই ক্যাম্পে বিভিন্ন পক্ষের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন দুজন। আহত হন অন্তত ২০ জন।
মূলত মাদক কারবারিরা আধিপত্য বিস্তারের জেরে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্র বলছে, মোহাম্মদুপুর থানা থেকে ৫ আগস্ট রাতে যে অস্ত্রগুলো লুট হয়, সেগুলোর বেশ কিছু এখন ব্যবহৃত হচ্ছে জেনেভা ক্যাম্পে।
কিন্তু এখন পর্যন্ত এই ক্যাম্পে বড় কোনো অভিযান চালায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। উদ্ধার হয়নি আগ্নেয়াস্ত্র। যদিও চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকে গোটা দেশে চলছে যৌথ অভিযান।
কিন্তু এখন পর্যন্ত এই ক্যাম্পে বড় কোনো অভিযান চালায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। উদ্ধার হয়নি আগ্নেয়াস্ত্র। যদিও চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকে গোটা দেশে চলছে যৌথ অভিযান।
জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান বলেন, বিহারি ক্যাম্পেও অভিযান চালাবেন তারা। এজন্য উচ্চপর্যায়ে কথাবার্তা চলছে। তারা অনুমতি দিলেই সেখানে অভিযান চালানো হবে
গোলাগুলি কারা করছে সে বিষয়ে সব জানলেও ক্যামেরায় কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা। তবে তারা বলছেন, দিন কাটছে আতঙ্কে-নিরাপত্তাহীনতায়। প্রতিদিনই মারামারি-গোলাগুলি হয়।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্য বলছে, ৫ আগস্টের আগে পরে পুরো দেশে পুলিশের সাড়ে ৫ হাজারের বেশি অস্ত্র লুট হয়। যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার করতে না পারা অস্ত্রের সংখ্যা দেড় হাজারের বেশি। লুট হওয়া বিভিন্ন ধরনের গুলির সংখ্যা অন্তত ৭ লাখ। যার মধ্যে এখনও অর্ধেকও উদ্ধার করা যায়নি।
পুরো দেশে ৪ তারিখ থেকে যে অভিযান চলছে; সেই অভিযানে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে কিন্তু অভিযোগ আছে, জেনেভা ক্যাম্পের মতো বহু জায়গায় এখনও অভিযান শুরু করেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।