শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১১টায় দুর্বৃত্তরা বাংরুকে ধরে রেল লাইনের পাশে বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে লাঠি দিয়ে বেদম পিটিয়ে আহত করে। পরে বিকালে তিনি মারা যান।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় নিহত তহিদুর রহমানের মামাতো ভাই শাহিনুল ৫ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত তহিদুর রহমান দিনাজপুর সদর উপজেলার শশরা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ হাটের বাসিন্দা। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
তহিদুর রহমান বাংরু ট্রাক্টর ড্রাইভার ছিলেন। ২ মেয়ে ও অন্ধ মাকে নিয়ে তার সংসার।
পুলিশ জানায়, দিনাজপুর সদর উপজেলার শশরা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ হাটে মাছ ধরার রিং জাল ও কারেন্টের জাল চুরির দায়ে তহিদুর রহমান বাংরুকে আটক করে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দুপুর ১১টায় দুর্বৃত্তরা বাংরুকে ধরে রেল লাইনের পাশে বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে লাঠি দিয়ে বেদম পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করে বিকেল ৪টায় তার বাড়িতে ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। তহিদুরের অন্ধ মা কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে চুপচাপ ছিলেন। রাতেও তহিদুরের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে অন্ধ মা চিৎকার শুরু করেন। এ সময় প্রতিবেশীরা মায়ের চিৎকারে বাড়িতে এসে তহিদুরকে মৃত দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে সুরুতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী ও শশরা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান।
আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে জানালেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ।