
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ইসলামী ব্যাংকের ৪০০ তম শাখা হিসেবে ঘাটাইল শাখার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় দেশ থেকে অর্থ পাচার কমে গেছে। ফলে টাকাটা বাহিরে ডাইভার্ট না হয়ে বাংলাদেশে রয়ে গেছে। যারা অর্থ নিয়ে পালিয়ে গেছে দেশ ছেড়ে তাদের অর্থ কীভাবে ফিরিয়ে আনতে হয় সে চেষ্টা আমরা করছি। চেষ্টার শেষ নাই। করে যাব ইনশাল্লাহ। হয়ত দেরিতে হলেও সফল হব।
শনিবার টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ইসলামী ব্যাংকের ৪০০ তম শাখা হিসেবে ঘাটাইল শাখার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এসব কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, আমাদের মুদ্রাস্ফীতি এখনো অনেক বেশি আছে। এটাকে কমিয়ে আনতে হবে। আশা করছি জুন মাস নাগাদ এটা স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, আমাদের রিজার্ভ পড়ে যাচ্ছিল। ব্যালেন্স অব ক্রেডিট অবমূল্যায়ন হচ্ছিল। এই জায়গা থেকে আমরা বের হয়ে এসেছি। এখন রিজার্ভ আর কমছে না। গত ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ডলারও বিক্রি করেনি। ব্যালেন্স অব পেমেন্টে যে ঘাটতি ছিল এখন তা আর ঘাটতি নেই। রেমিট্যান্সে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। গত পাঁচমাসে আমাদের অতিরিক্ত তিন মিলিয়ন রেমিট্যান্স এসেছে।
‘এখন আপনাদের ভাই-বোন যারা বিদেশে চাকরি করছেন তাদের টাকাটা খুব দ্রুত আপনাদের কাছে চলে আসছে। নিরাপদে সেই টাকা আপনারা পাচ্ছেন। ইসলামী ব্যাংক সেখানে এক বিশাল ভূমিকা পালন করছে। যদি ইতিহাসে দেখি, ইসলামী ব্যাংক এক নম্বর রেমিটেন্স সংগ্রহকারী ব্যাংক।’
গভর্নর এ সময় বলেন, ‘ব্যাংক কোনো ব্যক্তিগত বা পারিবারিক প্রতিষ্ঠান নয়। এটা সবার জন্য। আমানতকারীর সকলেই ব্যাংকের মালিক। আমাদের প্রচেষ্টায় দেউলিয়া হওয়ার পথে ১০টি ব্যাংকের মধ্যে অনেক ব্যাংকই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।’
ব্যাংকিং খাতের উপল আস্থা রাখতে এসময় তিনি আহবান জানিয়ে বলেন, খাদ্যপণ্যের অতিরিক্ত মূল্যের কারণেই মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে। আমরা আশা করছি খাদ্যপণ্যের দাম কমে আসবে। আগামী চার-পাঁচ মাসের মধ্যে একটা স্বস্তির জায়গায় পৌঁছে যাবে।
বাংলাদেশ ইসলামি ব্যাংক পিএলসি’র চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মনিরুল মওলা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শরীয়াহ্ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর এম মাসুদ রহমান।
ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা, স্থানীয় ব্যবসায়ী, শুভানুধ্যায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।