চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ২ জনের মৃত্যুর খবর শোনা গেলেও হাজীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপস শীল নিহতের তথ্যের ঘটনার কোনো সত্যতা নিশ্চিত করেনি।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, টোরাগড় ৭ ও ৮নং ওয়ার্ড থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা হাজীগঞ্জ বাজারের ৬নং ওয়ার্ড টোরাগড় সর্দার বাড়ির বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তবে ঠিক কী কারণে এ সংঘর্ষ তার মূল কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ সময় বন্ধ হয়ে যায় চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের সব গাড়ি।
পরে রাত প্রায় ১০টার সময় চাঁদপুর থেকে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুর রকিব এবং জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টোরাগড় ও মকিমাবদ সর্দার বাড়ির বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রথম দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় বিএনপি নেতা আকতার হোসেন ও তার ছেলে এবং যুবলদল নেতা বাবু গুরুতর আহত হয়। তাদের হাজীগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেদিন রাতে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার হাজীগঞ্জ থানায় বৈঠক হলেও সমাধান হয়নি। ফলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আবারও ২ গ্রুপে সংঘর্ষ বাধে।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। বিষয়ে পরিস্থিতি এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তবে নিহত কে বা কারা হয়েছে এখনো এমন কোনো তথ্য পাইনি।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ইউএনও তাপস শীল বলেন, আমরা এখনো নিহতের কোনো তথ্য পাইনি। তবে বেশ কয়েকজন আহতের খবর পাচ্ছি।