কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে র্যাবের হাতে গ্রেফতার যুবক।
শনিবার (৫ অক্টোবর) ভোরে নরসিংদী জেলার পলাশ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আটক মো. সাকিব আহম্মেদ কুমিল্লা দাউদকান্দি উপজেলার হাসনাবাদ এলাকার রিপন মিয়ার ছেলে।
র্যাব জানায়, আটক সাকিবকে আটকের পর প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সাকিব ধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন। ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা একজন ব্যবসায়ী। সে দাউদকান্দি উপজেলার স্থানীয় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন। কলেজে যাওয়া আসার সময় ভুক্তভোগীর সঙ্গে সাকিবের পরিচয়। একটা সময়ে গিয়ে ভুক্তভোগীকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের প্রস্তাব দেয় সাকিব। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সাকিব তাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধমকিসহ অপহরণের ভয় দেখায়।
গত ২০ সেপ্টেম্বর সকালে কেনাকাটা করার জন্য দাউদকান্দি থানার হাসনাবাদ এলাকায় পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পিত পরিকল্পনা অনুযায়ী সাকিব ও তার সহযোগীরা ভুক্তভোগীকে অপহরণ করে মাইক্রোবাস যোগে গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী থানার মেম্বারবাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আসামী সাকিব পূর্বে ভাড়া করে রাখা একটি রুমে ভুক্তভোগীকে আটকিয়ে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে সাকিব ওই বাসা থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে ভুক্তভোগী মোবাইলফোনে তার বাসায় যোগাযোগ করলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা র্যাব ১১ সিপিসি ২ এর অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান সময় সংবাদকে জানান, ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে কুমিল্লা দাউদকান্দি থানায় ৩০ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব অভিযানে নামে। আটক করা হয় ঘটনার মূলহোতা সাকিবকে। গ্রেফতার আসামিকে দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।