
হত্যার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত ৩ জন
চাচা হত্যার প্রতিশোধ নিতে ভাতিজা নিজেই খুন করলেন খুনিকে। এর আগে হত্যাকান্ডের শিকার করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপুকে কৌশলে কক্সবাজার নিয়ে আসা হয়।
জানা গেছে, খুলনার পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা শহীদুল ইসলাম ওরফে হুজি শহীদের হত্যার প্রতিশোধ নিতেই তার ভাতিজা শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পুর নেতৃত্বেই এক সংঘবদ্ধ চক্র গোলাম রব্বানী টিপুকে হত্যা করে।
পাপ্পু নিজেই গুলি করে এই হত্যার ঘটনা ঘটান। এছাড়া স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বও এই হত্যাকাণ্ডে ইন্ধন রয়েছে।
এদিকে এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ৮ জানুয়ারি কক্সবাজারে আলোচিত টিপু হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার কাপনা পাহাড়ি চা বাগান থেকে নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতারের পর এই হত্যাকাণ্ডের জট খুলেছে বলে তিনি জানান।
সাংবাদিকেদের পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে টিপু হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু (২৭)। তিনি খুলনা সিটি করপোরেশনের ৪নং ওয়ার্ড দৌলতপুর দেওয়ানা মোল্লাপাড়া এলাকার জামাল শেখের পুত্র। অন্য দু’জন পাপ্পুর প্রতিবেশি মো. সেলিম আকনের মেয়ে ঋতু (২৪) এবং ৬নং ওয়ার্ডের কেশবলাল সড়কের মধ্য কারিগরপাড়ার হায়দার সরদার অদুদের পুত্র ও পাপ্পুর বন্ধু মো. গোলাম রসুল (২৫)। তিনজনকে কক্সবাজারে নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ২০১৫ সালে খুন হন দৌলতপুরে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও পাটশ্রমিক ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম ওরফে হুজি শহীদ। এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন নিহত কাউন্সিলর গোলাম রাব্বানি টিপু এবং হত্যা মামলার প্রধান আসামিও।
হুজি শহীদের ভাতিজা শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পুর স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, হুজি শহীদ ও নিহত টিপু একই এলাকার বাসিন্দা। সে কারণে তাদের মধ্যে আধিপত্যের দ্বন্দ্ব ছিলো। সে দ্বন্দ্বের জেরে গোলাম রাব্বানির নেতৃত্বে হুজি শহীদকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডের প্রতিশোধ নিতে হুজি শহীদের পরিবারের পরিকল্পনায় টিপুকে হত্যা করা হয়েছে।