শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাদিয়া আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আহত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান। এখনো তার পরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনি চলমান সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন বলে জেনেছি।
জানা যায়, শুক্রবার সকালে শহরের জিমনেশিয়াম চত্বর থেকে কয়েক হাজার পাহাড়ির একটি মিছিল বের হয়ে বনরূপায় গেলে সেখানে মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে এমন অভিযোগ করে বাঙালিদের বেশ কিছু দোকানপাট ও বনরূপা মসজিদ ভাঙচুর করে মিছিলকারীরা। এ সময় রাস্তায় চলাচলকারী প্রচুর বাস-ট্রাক ভাঙচুর করেন তারা।
এরপরই লাঠিসোটা হাতে মাঠে নেমে পড়েন বাঙালিরাও। তাদের পাল্টা হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কাঠালতলীতে অবস্থিত মৈত্রী বিহার। আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় বনরূপায় পাহাড়িদের কয়েকটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি।
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। প্রায় ৪ ঘণ্টা পরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪৪ ধরা জারি করে জেলা প্রশাসন।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, ‘জেলা সদর ও পৌর শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’