সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শন ও স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙালিদের সাথে কথা বলেন তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহ নেওয়াজ রাজু। এছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত কমিটি শহরের বনরুপা বাজার, কাটাপাহাড় লেইন সহ ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি দোকান বাসাবাড়ি পরিদর্শন করেন। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের বক্তব্য শুনেন।
পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘কিছু বিষয়কে মাথায় রেখে আমরা তদন্ত করছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে সেদিনের বিষয়গুলো নিয়ে তাদের কথা শুনছি। সংঘটিত সহিংস ঘটনার প্রকৃত কারণ অণুসন্ধান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা এবং ভবিষ্যতে একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হয়, এই তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্তদের কথার সার সংক্ষেপ তৈরি আগামী ১৪ দিনের মধ্যে সরকারকে পৌঁছে দেব।’
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, তদন্ত কমিটি যেন ঘটনার সাথে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার সুপারিশ করে। যাতে আর কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস না দেখাতে পারে।
১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ির দিঘীলানায় সংগঠিত সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে ২০ সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটিতে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয় সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন নামে একটি সংগঠন। সেই মিছিলে হামলার অভিযোগে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে রাঙ্গামাটি শহরে। এতে একজন নিহত ও ৬৩ জন আহত হয়। জ্বালিয়ে দেয়া হয় গাড়ি, বসত বাড়ি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, এই সসহিংসতায় সরাকারি অফিস ২টি, দোকান ৮৯টি, ব্যাংক ৪টি, ভাসমান দোকান ৮৫টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ২টি, পরিবহন ৪৬টি, ডায়গনিস্টির সেন্টার ২টি ও একটি পুলিশ বক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ৯ কোটি টাকা। পরে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনা তদন্তে গত ২৬ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) কে প্রধান করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে সরকার।