
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার এতবারপুর ইউনিয়নের বানিয়াচং গ্রামের খন্দকার বাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় সুদ ও ঘুষের বিরুদ্ধে আলোচনা চলাকালে ইমামকে মাইকের স্ট্যান্ড দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর ইমামের সমর্থকরা প্রতিশোধ হিসেবে কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করেছেন।
শুক্রবার (তারিখ) সকালে মসজিদের হুজরাখানায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ইমাম মো. হাসান মুরাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার দড়িকান্দি এলাকার বাসিন্দা। তিনি চান্দিনার বানিয়াচং খন্দকার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
খুতবায় সুদ ও ঘুষের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ায় মসজিদ কমিটির সদস্যরা ইমামের ওপর ক্ষুব্ধ হন। এ সময় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. নূরুল ইসলাম এবং খোববাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন মাইকের স্ট্যান্ড দিয়ে ইমামকে মারধর করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ইমাম মো. হাসান মুরাদ জানান, তিনি সুদ ও ঘুষের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, যা কিছু লোক মানতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, “আমি তাদের অনুরোধ করে বলেছি, আমি রমজান মাস থেকে নিজেই চলে যাব। কিন্তু তারা আমাকে মারধর করে কক্ষে থাকা ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।”
অভিযুক্ত নূরুল ইসলাম মাস্টার তার পক্ষ থেকে বলেছেন, “ইমামের বক্তব্যে মুসল্লিরা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। তাকে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শনিবার তাকে বুঝিয়ে বিদায় করতে গেলে তিনি আমার চোখে আঘাত করেন।”
ঘটনার পর শনিবার সন্ধ্যায় ইমামের সমর্থকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে নূরুল ইসলাম ও জাকির হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এছাড়া ইউপি মেম্বারের বাড়িও আক্রান্ত হয়।
চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হুদা বলেন, “ইমামকে মারধরের ঘটনার পর এলাকাবাসী কিছু ব্যক্তির বাড়িতে হামলা করেছে। উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং তদন্ত চলছে।”
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়িয়েছে।