রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সময় সংবাদের প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে বড় রাস্তাগুলোতে পানি না উঠলেও অনেক অলিগলিতে পানি জমেছে। কাদাপানিতে সয়লাব সবদিক। ভোরের বৃষ্টিতে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলেও যেতে পারেনি।
এমনটা শুধু রাজধানীতে নয়, সারা দেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণও হচ্ছে। তবে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ধীরে ধীরে বাড়বে তাপমাত্রাও।
গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালীতে ২২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা সর্বোচ্চ হিসেবে রেকর্ড হয়েছে। এছাড়া বরিশালে ১৭৭, খেপুপাড়ায় ১৮৯, ভোলায় ১৩৪, কুমারখালীতে ১০৯, লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ১৩৯, চাঁদপুরে ১১৯, গোপালগঞ্জে ১৩৩, মাদারীপুরে ১৬৬, ফরিদপুরে ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় মাত্র ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, প্রথম ২৪ ঘণ্টা রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে।
এদিকে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের আশঙ্কাও রয়েছে। এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।