
টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া মেরিন ড্রাইভ এলাকা থেকে ১৮ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ১১ জন নারী, ৫ জন শিশু এবং ২ জন পুরুষ রয়েছেন। এ ঘটনায় রোহিঙ্গা পাচারের অভিযোগে নেজাম উদ্দিন ওরফে মেহেবুব নামে এক বাংলাদেশি পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করে। পাচারকারীরা রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য নৌকায় তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, কচ্ছপিয়া মেরিন ড্রাইভ রুট দিয়ে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের মালয়েশিয়ায় পাচারের খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান শুরু করে। তিনি বলেন, "উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প এবং আশেপাশের এলাকায় বসবাস করে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।"
পুলিশ হেফাজতে থাকা ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর জানায়, তাকে মালয়েশিয়ায় চাকরির লোভ দেখিয়ে কুতুপালং ক্যাম্প থেকে টেকনাফে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে ৫০ হাজার টাকায় পাচারকারীদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পাচারকারীরা তার হাত-পা বেঁধে নয় দিন ধরে একটি দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় আটকে রাখে। কিশোরটি আরও বলে, "আজ যখন তারা আমাদের মালয়েশিয়ায় নৌকায় তোলার কথা ছিল, তখন পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।"
গ্রেপ্তারকৃত পাচারকারী নেজাম উদ্দিন টেকনাফের বাহারছড়া হাজাম পাড়ার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গা পাচারের সঙ্গে জড়িত এই চক্রের আরও সদস্য রয়েছে, যাদের ধরতে তদন্ত চলছে।
রোহিঙ্গা পাচার প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েক মাসে টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা পাচারকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।