৯০ দশকে বিপুল দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল তাদের জুটি। ঢালিউডে সালমান-শাবনূরকে অন্যতম জুটি বিবেচনা করা হয় এখনও। দর্শকমহলে এতটাই সমাদৃত হন যে, আজও সালমান নামটি নিলেই উঠে আসে শাবনূরের নাম!
সালমানের জন্মদিনে তাকে স্মরণ করলেন শাবনূর। তাকে নিয়ে একটি পোস্টও দিয়েছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলা চলচ্চিত্রের যুবরাজ সালমান শাহ এক অকৃত্রিম ভালোবাসার নাম, এক ইতিহাসের নাম। প্রিয় এই নক্ষত্র এখনও আমাদের সবার হৃদয়ে, ভাবনায়, অনুভবে বেঁচে আছে, বেঁচে থাকবে চিরকাল।’
আরও বললেন, ‘জন্মদিনে বরাবরের মতো পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছি তোমাকে। আল্লাহপাক তোমাকে জান্নাতবাসী করুন।’
১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের দাড়িয়াপাড়ায় এক অভিজাত পরিবারে জন্ম নেন সালমান শাহ। আজ ক্ষণজন্মা এ অভিনেতার ৫৩তম জন্মবার্ষিকী। বেঁচে থাকলে ৫৪তে পা দিতেন তিনি। অল্প সময়ে ছোট-বড় সবার মন কেড়ে নেন এ নায়ক।
হঠাৎ করে ভক্তদের কাঁদিয়ে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন তিনি। তার শোকে সে সময় অনেকের স্বেচ্ছামৃত্যুর খবরও শোনা গিয়েছিল। তবে তার মৃত্যু নিয়ে আজও রয়েছে রহস্য। তার মা নীলা চৌধুরীর দাবি, সালমান আত্মহত্যা করেননি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
পরিবারের বড় ছেলে ছিলেন ইমন। তবে চলচ্চিত্রে সালমান শাহ নামেই পরিচিতি পান তিনি। অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ থাকায় ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে রুপালি পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি।
তার জন্মবার্ষিকীকে ঘিরে আজ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভক্তদের তৈরি ‘সালমান শাহ ফ্যান ক্লাব’ নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে বলে শোনা যায়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তার স্মরণে থাকবে নানা ধরনের পোস্ট।
সিনেমায় অভিনয়ের আগে টেলিভিশন নাটক দিয়ে অভিনয়-জীবন শুরু করেছিলেন এ তারকা। সালমান শাহ অভিনীত নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘আকাশ ছোঁয়া’, ‘সব পাখি ঘরে ফিরে’, ‘সৈকতে সারস’, ‘নয়ন’, ‘ইতিকথা’, আর বিশেষ টেলিফিল্ম ‘স্বপ্নের পৃথিবী’। তারপরই সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে নব্বই দশকে চলচ্চিত্রে এসে রোমান্টিক ঘরানার এক ভিন্ন ধারা তৈরি করেন সালমান।