
প্রতিকী ছবি।
২০২৪ সালে বাংলাদেশে ২৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। স্থানীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। রেমিট্যান্স আয়ে ২০২৪ সালে বিশ্বে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারত। ভারত রেমিট্যান্স হিসেবে আয় করেছে এক বছরে ইতিহাসের সর্বোচ্চ অর্থ; পরিমাণ ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১০ লাখ ৯৬ হাজার ৫০০ কোটি রূপি।
বিশ্বব্যাংকের একটি ব্লগ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশের প্রবাসী আয়ে ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় হলো পরিবারের জন্য বিদেশে কর্মরত ব্যক্তিদের নিজ দেশে পাঠানো অর্থ। এটি উন্নয়নশীল দেশগুলোর পরিবারগুলোর আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস এবং প্রাপক দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।
২০২৪ সালে রেমিট্যান্স অর্জনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল মেক্সিকো। দেশটির প্রবাসীরা দেশটিতে ৬৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন। তৃতীয় স্থানে থাকা চীনাপ্রবাসীরা নিজ দেশে পাঠিয়েছেন ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। চতুর্থ স্থানে থাকা দেশটি হলো ফিলিপাইন। দেশটির প্রবাসীরা দেশটিতে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন।
মিশর রেমিট্যান্স আয়ের দিক থেকে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে। দেশটির প্রবাসীরা গত বছর নিজ দেশে ২২ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন এবং নবম ও দশম অবস্থানে থাকা দুই দেশ যথাক্রমে গুয়াতেমালা ও জার্মানি। উভয় দেশের প্রবাসীরা নিজ নিজ দেশে সাড়ে ২১ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের জন্য প্রবাসী আয় বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান উৎস। ২০২৪ সালে এই দেশগুলো ৬৮৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। যা এক বছরে সর্বোচ্চ। ব্লগে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে প্রবাসী আয় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে ছাড়িয়ে গেছে। এফডিআই বলতে বোঝায় কোনো একটি দেশে অপর একটি দেশের সরাসরি বিনিয়োগ।
রিপোর্ট-দ্য হিন্দু থেকে।