জানা যায়, সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এতে রাঙ্গামাটিতে গত দুদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে পানি বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদে।
কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্র জানা যায়, হ্রদের পানি ধারণ ক্ষমতার কাছাকাছি চলে এসেছে। বর্তমানে হ্রদে ১০৮ দশমিক ৫৩ মিন সি লেভেলে (এমএসএল) পৌঁছে গেছে। হ্রদে পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।
ফলে হ্রদের তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। জেলার বাঘাইছড়ি, লংগদু, ও রাঙ্গামাটি পৌর এলাকায় প্লাবিত হচ্ছে। এতে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন তীরবর্তী মানুষ।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনে সূত্রে জানা যায়, জেলার লংগদু, বাঘাইছড়ি ৫টি ইউনিয়ন ও রাঙ্গামাটি পৌর এলাকায় ৯ হাজার ২০০ মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে যাননি।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের বলেন, ‘পানির স্তর আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্ধ্যায় বাঁধের গেট খোলার বিষয়টি চিন্তাভাবনার মধ্যে ছিল। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সন্ধ্যায় কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেইট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, হ্রদের পানি কমাতে গত ২৫ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৫ দিন বাঁধের ১৬টি গেট খোলা ছিল। পানির স্তর ১০৮ এমএসএলের নিচে চলে আসায় সব গেট বন্ধ করে দেয়া হয়।