ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে আহতদের অনেকে হাসপাতাল থেকে ঘরে ফিরছেন।
তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের এখনো চিকিৎসা বাকি অনেক। তবে সীমাবদ্ধতার কাছে হেরে গিয়ে ফিরতে হচ্ছে ঘরে। চিকিৎসা ব্যবস্থার এই দুর্দশায় ক্ষোভ আর আক্ষেপ তাদের কণ্ঠে।
আহতদের স্বজনরা বলেন, ‘আমরা চাই, আমাদের বাচ্চারা সুস্থ হোক। তারপর আমরা বাসায় নিয়ে যাবো।’
অভিযোগ শুধু এতটুকুই নয়। যাদের ত্যাগে দেশ হয়েছে স্বৈরাচার মুক্ত, তারাই হচ্ছেন সহায়তা বঞ্চিত। পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত সেবা।
বঞ্চিতদের তালিকায় কিছু নামের ভিন্ন গল্পও আছে। যেমন মাসুদ মিয়া নামে একজন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর চিকিৎসা নিয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালে। তবে এখন আর সামর্থ্য নেই। সরকারি হাসপাতালের সমাজসেবা কার্যালয়গুলোও নিয়েছে মুখ ফিরিয়ে।
সরকারিভাবে সবাইকে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা দেয়ার সক্ষমতা নেই জানিয়ে হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অধিকাংশ রোগীর অবস্থা উন্নতির দিকে। সিআরপি, ব্র্যাকসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে আহতদের একাংশকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসায় যেকোনো জটিলতা সৃষ্টি হলে হাসপাতালের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা দেয়া হবে বলেও জানানো হয়।