নায়িকা অঞ্জনার অজানা কথা

৭০, ৮০ ও ৯০ দশকের জনপ্রিয় এই নায়িকা ২০২৩ সালের অক্টোবরে জানিয়েছিলেন, ‘আমার বিয়ের পর নামের সঙ্গে রহমান যুক্ত হয়েছে। সেটা এখনো আছে। আমি সাহা পরিবারের, হিন্দু ছিলাম আমি। এখন আর পিছনে ফেরার উপায় নেই।’
সংগৃহিত ছবি।

সংগৃহিত ছবি।

প্রকাশিত

শ্রদ্ধা-ভালবাসা নিয়েই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। শুক্রবার দিনগত রাত ১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। শনিবার দুপুরে অভিনেত্রীর প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে বিএফডিসিতে। যেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিনোদন অঙ্গনের ব্যক্তিত্বরা। বিকেলে বনানী কবরস্থানে তার দাফন হবার কথা।

ঢাকায় এক সংস্কৃতিমনা পরিবারে অঞ্জনার জন্ম। ছোটবেলা থেকেই নাচের প্রতি তার আগ্রহের কারণে বাবা-মা তাকে নাচ শিখতে ভারতে পাঠান। সেখানে তিনি ওস্তাদ বাবুরাজ হীরালালের কাছে নাচের তালিম নেন, শেখেন কথক নৃত্যও।

মাত্র চার বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে অঞ্জনার আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর আর থেকে থাকেননি। নৃত্যশিল্পী হিসেবে ছোট থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছেন। সাদাকালো থেকে রঙ্গিন বাংলা চলচ্চিত্রের সাক্ষী গুণী এই অভিনেত্রী।

দেশ-বিদেশ মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক সিনেমাতে কাজ করেছেন একজন অঞ্জনা। সিনেমায় আসার আগেই অঞ্জনা পরিচিতি পান নৃত্যশিল্পী হিসেবে। ১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্র দিয়ে তিনি ঢাকাই সিনেমায় কাজ শুরু করলেও তার মুক্তি পাওয়া প্রথম চলচ্চিত্র ছিল শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত ‘দস্যু বনহুর’। ক্যারিয়ারের শুরুতে অঞ্জনার নাম ছিল অঞ্জনা সাহা। বিয়ের কারণে নিজের ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন এই চিত্রনায়িকা।

অঞ্জনা বিয়ে করেন পরিচালক আজিজুর রহমান বুলিকে। তাঁদের বিচ্ছেদও হয়ে যায়।  দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে নিজের নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে ২০২৩ সালের অক্টোবরে অঞ্জনা জানিয়েছিলেন, ‘আমার বিয়ের পর নামের সঙ্গে রহমান যুক্ত হয়েছে। সেটা এখনো আছে। আমি সাহা পরিবারের, হিন্দু ছিলাম আমি।’

যে বিয়ের কারণে নাম পরিবর্তন সেই বিয়ে না টেকার পরও একই নামে থাকার কারণ হিসাবে নায়িকার ভাষ্য, ‘বিয়ে না টিকুক। যেহেতু আমি ধর্ম পরিবর্তন করে ফেলেছি, আর পেছনে যাওয়া যাবে না।’ সেই সাক্ষাৎকারে নিয়মিত নামাজ-রোজা করার কথাও জানিয়েছিলেন এই চিত্রনায়িকা।

অঞ্জনার অভিনয়জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে। বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। তবে অঞ্জনা অভিনীত ও একই বছর মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দস্যু বনহুর’। ছবিতে তার নায়ক ছিলেন সোহেল রানা। এরপর টানা কাজ করেছেন অঞ্জনা। ‘ফুলেশ্বরী’‘রাম রহিম জন’ ‘নাগিনা’ও ‘পরীণিতা’র মতো দর্শকপ্রিয় হিট সিনেমায়।

স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অভিনয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আন্তর্জাতিক পুরস্কার, একাধিক জাতীয় স্বর্ণপদক ও বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন কয়েকবার। নৃত্যশিল্পী হিসেবেও অঞ্জনা পেয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক স্বীকৃতি।

আরো পড়ুন

No stories found.
logo
The Metro TV | দ্য মেট্রো টিভি | The Metro TV Bangladesh | Bangla News Today | themetrotv.com |The Metro TV News
themetrotv.com