
মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা
‘সব ক্রিকেটার থেকে শুরু করে বোর্ড কর্মকর্তা। সবাই অকপটে স্বীকার করতেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক তিনি। সময়ের পোস্টারে লিখতেন বাংলাদেশের নাম। হৃদয় গভীর থেকে ক্রিকেট ভক্তরাও জানাতেন হাজারো সালাম। পতন আর পরিবর্তনের পালাবদলে সেই মাশরাফি এখন একা, একেবারে একা।
মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার রাজনীতির ক্যারিয়ার শুরু ২০১৮ সালে। ১১ নভেম্বর, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাশরাফী নড়াইল-২ আসনের হয়ে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। ২০১৮ সালর ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে ২৭১২১০ ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ক্রিকেটার মাশরাফি
২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো অংশ নেন মাশরাফি। ২০২৪ এর নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকায় অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। তবে ১০ জানুয়ারি শপথগ্রহণের পর মাত্র ৬ মাস ২৭ দিন সংসদ সদস্য ছিলেন।
৫ আগস্ট অসহযোগ আন্দোলনের মুখে আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত চলে যান। পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভাঙেন। সংসদ সদস্য পদ হারান মাশরাফি।
তবে তিনি শুধু সংসদ সদস্য পদই হারাননি। হারিয়েছেন অর্জিত মান। নড়াইলের বাসভবন। ক্রিকেটে অর্জন করা সকল স্মারক সেই সাথে বিশাল সমর্থক। হয়েছেন হামলার মামলার আসামী। নড়াইলের মানুষও তার পাশে নেই।
মাশরাফির নড়াইলের বাসভবন
সব হারানো মাশরাফির পাশে এখন কেউ নেই। এমনকি ক্রিকেটাররাও না। প্রকাশ্যে এখন পর্যন্ত কোনো ক্রিকেটার, ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট কেউ মাশরাফির পক্ষ নেয়নি। মাশরাফি এখন অবধি কাউকেই পাশে পাইনি। ‘সাকিব আল হাসানের পাশে অনেকে দাড়াঁলেও ‘মাশরাফির পাশে নেই কেউ’।
• মাশরাফির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। খুদেবার্তা পাঠানো হয়, অনলাইনে কল করা হয়। তবে তিনি এসবের কোনো সাড়া দেননি।