
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) ২০১৭ সালে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অপরাধীদের ধরতে ৪২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছিল। এতে খরচ হয়েছিল আড়াই কোটি টাকা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এই ক্যামেরাগুলোর প্রায় সবগুলোই চুরি হয়ে গেছে। যেগুলো এখনও অবশিষ্ট আছে, সেগুলোও অকেজো হয়ে পড়েছে। ফলে বর্তমানে পুরো নগরী অপরাধী শনাক্তের জন্য নজরদারির বাইরে।
বিসিসি সূত্র জানায়, ক্যামেরাগুলো বসানোর সময় পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা ছিল না। তাছাড়া, প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্টের অভাবও ছিল। এর ফলস্বরূপ, সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ধীরে ধীরে অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং চুরি হয়ে যায়। নগর ভবনের ৭০টি ক্যামেরাও চুরি হয়ে গেছে, ফলে পুরো নগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) ২০৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে অপরাধ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা চালাচ্ছে। তবে, সিটি করপোরেশনের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোর অকেজো হওয়ায় আসন্ন রমজানে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
এদিকে, সনাক সভাপতি অধ্যক্ষ জাহিদ হোসেন বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি দাবি করেছেন, দ্রুত নষ্ট হওয়া ক্যামেরাগুলো প্রতিস্থাপন করা উচিত, যাতে নগরবাসী নিরাপদে থাকতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে, বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী জানিয়েছেন, সিটি করপোরেশনের গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে এবং দ্রুত সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো পুনরায় স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।