
মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরসভা এলাকায় এক মর্মান্তিক ঘটনায় ৩ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৩ মার্চ) সকালে। শিশুটিকে আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে বড়লেখা পৌর এলাকার একটি বাসায় ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করে। সোমবার সকালে শিশুটি চকলেট খাওয়ার জন্য মায়ের কাছে জোরাজুরি করলে, মা তাকে ৩০ টাকা দিয়ে বাসার নিচের দোকান থেকে চকলেট কিনে আনার জন্য পাঠান। কিন্তু শিশুটি দীর্ঘক্ষণ বাসায় ফিরে না আসায় মা উদ্বিগ্ন হয়ে নিচে গিয়ে দেখেন, দোকান মালিক রেদওয়ান ইসলাম আরিফ শিশুটিকে দোকানের ভেতরে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালাচ্ছে। মা চিৎকার করে শিশুটিকে উদ্ধার করেন এবং তাকে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তার অবস্থা গুরুতর হলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত রেদওয়ান ইসলাম আরিফকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। রেদওয়ান বড়লেখা পৌরসভার গাজিটেকা-আইলাপুর এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। শিশুটির মা ঘটনার দিনই বড়লেখা থানায় মামলা করেছেন।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম সরকার জানান, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। শিশুটির মামলার তদন্ত চলছে এবং আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।
এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণ ও সামাজিক সংগঠনগুলো ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে। শিশু অধিকার সংরক্ষণ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে।
এই ধরনের সংবেদনশীল ঘটনা রিপোর্ট করার সময় নৈতিকতা ও সংবেদনশীলতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুটির পরিচয় গোপন রাখা এবং ঘটনার বিবরণ সঠিকভাবে উপস্থাপন করা উচিত।