শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরের টাউনহল মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন: মেহেদি হাসান মাহফুজ (১৮), নাবিল সিদ্দিকী নিলয় (১৯) ও মিনহাজ সিদ্দিক (১৯)।
পুলিশ ও সমন্বয়করা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে নগরের টাউনহল মোড় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেনের বন্ধু সায়েব এ রাকাতের সঙ্গে সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল নকিবের ঘনিষ্ঠ আসিফুর রহমানের বাগবিতণ্ডা হয়। সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে এ সময় দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতিও হয়। এ ঘটনার পর দুগ্রুপের লোকজন মুঠোফোনে নিজেদের লোকজন জড়ো করে। সায়েব এ রাকাত প্রতিপক্ষ গ্রুপের আসিফুর রহমানের দুই ভাইকে তুলে নিয়ে যায়। এ নিয়ে টাউনহল এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে ফের মারামারি শুরু হয়। এ সময় ওই তিন শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতের শিকার হন। তিনজনের মধ্যে কারও পিঠে, কারও হাতে এবং কারও পায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল আসিফুর রহমানের দুই ভাইকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে থানায় হস্তান্তর করে। রাত ১১টার দিকে দুগ্রুপের লোকজন সমঝোতার ভিত্তিতে থানা হেফাজত থেকে দুজনকে ছাড়িয়ে নেয় বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ছুরিকাহত হওয়ার ঘটনায় অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’