রোববার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে দুপুর পৌনে ২টার দিকে বোর্ডের প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষা বোর্ডের প্রবেশপথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার করে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে তিন ছাত্রীসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।
তারা জানান, সম্প্রতি এইচএসসির প্রকাশিত ফলাফলে বৈষম্য হয়েছে। সবগুলো বিষয়ের ওপর সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল চান। এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই সেই সাবজেক্ট ম্যাপিং করার দাবি।
বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, হঠাৎ করে কিছু শিক্ষার্থী ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করেন। এমনকি তারা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষেও ভাঙচুর চালান।
ফলাফলে বৈষম্যের বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এখানে কেউ বঞ্চিত বা বৈষম্যের শিকার হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের কথা শুনে সে অনুযায়ী যা করার দরকার তা আমরা করবো।’
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা শিক্ষা বোর্ডে অবস্থান নিয়েছেন।
ঘটনাস্থলে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, শিক্ষার্থীরা প্রথমে বোর্ডের ফটকে তালা দিয়েছিল। ভেতরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছিল না। সেসময় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভেতরে ঢুকতে চাইলেও তাদের যেতে দেয়া হয়নি। তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।
সবশেষ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা এখনও অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। একটি প্রতিনিধিদল বোর্ডের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।