
কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
এ ঘটনায় পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল আলম নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। গতকাল শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।
কুড়িগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. মনজুর এ মুর্শেদ জানায়, সংঘর্ষের ঘটনার পর একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বেশ কয়েকজন আহত রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, তিনি কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাসভীরুল ইসলামের সমর্থক ছিলেন।
সূত্র জানিয়েছে, তাসভীরুল ইসলাম এবং রংপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষের কয়েকজন নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি অরাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা চলছিল। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে আশরাফুল থামানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। দ্রুত উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এই ঘটনার জেরে উলিপুর উপজেলা শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাসভীর গ্রুপের ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা খালেকের সমর্থক আমিনুল ইসলামের মালিকানাধীন শুভেচ্ছা হোটেলে ভাঙচুর করেন। এ ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত থাকা পৌর শহরের বাসিন্দা কৃষকদল নেতা আবু জাফর সোহেল রানা ও সাবেক ছাত্রদল নেতা ফিরোজ কবির কাজলের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশরাফুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করলেও প্রথমে সংঘর্ষে আহত হয়নি দাবি করেন উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ।
তবে তিনি পরে বলেন, আমি ছুটিতে আছি। আমাদের অফিসারদের ম্যাধমে জানতে পেরেছি থাক্কাধাক্কির ঘটনায় একজন সম্ভবত স্ট্রোক মারা গেছে। তবে থানার ভেতরে নয়, শুনেছি থানা চত্বরের কাছে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।