
মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশুটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আজ সন্ধ্যায় মাগুরার নোমানী ময়দানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় জনসাধারণের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
শিশুটির মৃত্যু হয় আজ দুপুর ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হলেও তাকে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। সকালে শিশুটির তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়, তৃতীয়বার হৃদস্পন্দন ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।
গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরতলির নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার পর তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শেষমেশ তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়, যেখানে আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি বোর্ড গঠন করে তার চিকিৎসা চালানো হয়। তবে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
ঘটনার পর শিশুটির মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। তাদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এ ঘটনায় তিনজন পুরুষ আসামির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে এবং তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। শিশুটির বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে সবাইকে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।