ফাইল ছবি।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জামাই ও শ্বশুর পক্ষের লোকজনের সংঘর্ষে নারীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
বুধবার সকালে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মুনসুরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীরা জানায়, মুনসুরাবাদ গ্রামের ইলিয়াস মাতব্বরের মেয়ে অন্তরা আক্তার গ্রামের একটি কওমি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো। এ সময় মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক জাহিদ মোল্লার সাথে অন্তরার প্রেমের সম্পর্ক হয়। বছর দেড়েক আগে জাহিদ মোল্লা তার মাদ্রাসার শিক্ষার্থী অন্তরাকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন। জাহিদের আগে আরও দুই স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান রয়েছে।
অন্তরার পিতা ইলিয়াস মাতব্বর জাহিদ মোল্লার বড় ভাই হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য আলমগীর মোল্লার মধ্যে আগে থেকেই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
মঙ্গলবার দুপুরে ইলিয়াস মাতুব্বরকে একা পেয়ে জাহিদ মোল্লার চাচাতো ভাই রাসেল মোল্লা কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমার ভাই জাহিদ তিন বিয়ে করেছে। আর একটা বিয়ে করিয়ে হালি (৪টি) পূরণ করব।’ এ বিষয়ে ইলিয়াস মাতুব্বর অপমানবোধ করে গ্রামে তার পক্ষের লোকজনকে জানায়। এ নিয়ে দুই পক্ষের তর্কবিতর্ক হয়। ওইদিন বিকেলে মুনসুরাবাদ বাজারে ইলিয়াস মাতুব্বরকে মারধর করে জামাই জাহিদ মোল্লার লোকজন। এ নিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। এর জের ধরে বুধবার সকালে ফের জামাই ও শ্বশুরপক্ষের লোকজন ঢাল, সড়কি, রামদা, ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।
আহতদের দুজনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একজন ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা যায়। ভাঙ্গা থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনলেওেএলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, ‘জাহিদকে তার ভাইয়েরা আরো একটি বিয়ে করাবে এ কথা জাহিদের স্ত্রীর বাবা ইলিয়াস মাতুব্বরের সামনে বলা নিয়ে কথা কাটাকাটি, মারামারি ও সর্বশেষ দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।