মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পাবনার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচরা ইউনিয়নের সমাজ দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মেহেদি হাসান চাটমোহর থানার হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হান্ডিয়াল ইউনিয়নের এক গৃহবধূ একটি মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে যাওয়া-আসা করতেন। মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন এসআই মেহেদী হাসান। এমন পরিস্থিতিতে তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক হয়। আর এই সম্পর্ক থেকেই তারা অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
সম্প্রতি ঐ গৃহবধূ পাশের ইউনিয়ন নিমাইচড়া সমাজ দক্ষিণপাড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার গভীর রাতে এসআই মেহেদী ঐ বাড়িতে গিয়ে গৃহবধূর সাথে একইঘরে রাত্রীযাপন করছিলেন। বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে পেরে বাড়ি ঘেরাও করে তাদের দুজনকে একই রুম থেকে আটক করে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে এসআই মেহেদীকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব জানান, ঘটনাটি জানার পরে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। এলাকার মানুষ এসআই মেহেদীকে আটক করার পরে প্রথমে হান্ডিয়াল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ গিয়ে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘ঘটনাটি আমি লোকমুখে শুনেছি। এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) হাবিবুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পরে আমি ঐ গৃহবধূর বাড়িতে গিয়েছিলাম। সে সমস্ত বিষয় আমার কাছে অস্বীকার করেছে। তবে এই ঘটনায় আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেলে ঐ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত এসআই মেহেদী হাসানের মন্তব্য জানতে তাকে ফোন করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।