
খাগড়াছড়ি সদর, পৌরসভা ও গুইমারা উপজেলায় এখনও বহাল আছে ১৪৪ ধারা। তবে, অবরোধ না থাকায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। খুলতে শুরু করেছে দোকানপাট।
আজ বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে গত দুইদিনের তুলনায় সড়কে মানুষ ও যানবাহনের চলাচল বেড়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এখনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। দূরপাল্লার রুটের কিছু পরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত অবরোধ স্থগিতের ঘোষণা দেয় জুম্ম ছাত্র-জনতা।
এর আগে, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ জানান, ধর্ষণ ইস্যুকে পুঁজি করে পাহাড় অশান্ত করার পরিকল্পনা ছিল।
এরমধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন পাহাড়ি-বাঙালি ও সেনাবাহিনীর ওপর গুলি বর্ষণ করে ইউপিডিএফ। যা পরিকল্পিত ছিল বলে জানিয়েছেন গুইমারা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম রানা।
এদিকে, গতকাল ভুক্তভোগী সেই মারমা কিশোরীর মেডিকেল রিপোর্ট হাতে আসে যমুনা নিউজের। যা যাচাই করে দেখা যায়, ওই কিশোরীর শরীরে ধর্ষণের কোনও আলামত পাওয়া যায়নি।
যদিও মামলার এজাহারে তার বাবা জানায়, পাশের একটি খেতে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় মেয়েটিকে।
এছাড়া, সংঘর্ষের ঘটনায় ইতোমধ্যে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।