ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চ্যানেল আইয়ের ৫ জন পরিচালকের বিরুদ্ধে ফারজানা রশীদ ব্রাউনিয়ার মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ ও পরিবার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং মিথ্যা মামলায় তাদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানাচ্ছে।
দায়েরকৃত মামলায় ফারজানা রশীদ ব্রাউনিয়াকে তার চাকরির পাওনাদি পরিশোধ না করার ও তার নিকট ৫০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি ও হুমকি প্রদান সংক্রান্ত অভিযোগসমূহ হাস্যকর ও মিথায় পরিপূর্ণ। মামলার দরখাস্তে যেসব অযাচিত ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক।
চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ এই মর্মে ব্যাখ্যা প্রদান করছে যে, ‘‘ফারজানা রশীদ ব্রাউনিয়া কোনকালেই চ্যানেল আইয়ের স্থায়ী কোন পদে কর্মরত ছিলেন না । চ্যানেল আইয়ে এক সময়ে প্রচারিত স্বর্ণ কিশোরী নামক অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব তাকে দেয়া হয়েছিল এবং সেই মোতাবেক তাকে সম্মানী প্রদান করা হত। গত নভেম্বর ২০১৮ থেকে উক্ত স্বর্ণ কিশোরী অনুষ্ঠানটি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বন্ধ হয়ে যায়। সেই কারণে চ্যানেল আইয়ের কাছে ফারজানা রশীদ ব্রাউনিয়ার কোন পাওনাদির প্রসঙ্গ অবান্তর। এছাড়া, ২০১৮ সাল থেকে শুরু করে কোন সময়েই এই ধরনের কোন দাবি দাওয়ার কথা কারোর জানা নেই ।
মূলত নিজের বিভিন্ন সংশ্লিষ্টতা আড়াল করতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে মনে হয়। চ্যানেল আইয়ের ৫ জন পরিচালককে ব্যক্তিগত আক্রোশে অযথা হয়রানি, সম্মানহানি কিংবা অন্য কোন বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিলে এই মামলা করা হয়ে থাকতে পারে বলে চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ মনে করছে। মামলার অভিযোগের সাথে ৫ জন পরিচালকের কোনরূপ সংশ্লিষ্টতা নেই।
দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাটি চ্যানেল আইয়ের উক্ত ৫ জন পরিচালক আইনগতভাবে মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।’’