দুপুরে বজ্রপাতে উপজেলা সদরের পাশের গ্রাম মুক্তিখলার একজন শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে। নিহত শ্রমিক উপজেলার মুক্তিখলা গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে ইমদাদুল ইসলাম (৫০)। দুপুর দেড়টায় বাড়ির সামনে কাজ করার সময় বজ্রপাতের ঘটনায় মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.সুমন চন্দ্র বর্মন ও গ্রামবাসীরা জানান, বাড়ির সামনে কাজ করার সময় বজ্রপাতের ঘটনায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ইমদাদুল ইসলাম। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এর কিছুক্ষণ পর বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদরের সামনের খরচার হাওরে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় দুই শিশুর। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। নিহত শিশুরা হলো- বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদরের পাশের গ্রাম রাধানগরের ফজলুল হকের ছেলে ইউনুস মিয়া (৮) ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা গ্রামের মনোয়ার হোসেন ময়নার ছেলে আরাফাত হাসান মেহেদী (৭)।
প্রতিবেশীরা জানান, মামার বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করতো আরাফাত,শনিবার দুপুরে মামাতো ভাই ইউনুস ও আরাফাত উপজেলা সদরের সামনের খরচার হাওরে পানিতে নামে। এ সময় এক ভাই ডুবে গেলে বাঁচানোর জন্য আরেক ভাইও ডুবে মারা যায়। কিছুক্ষণ পর একজনের মরদেহ ভেসে ওঠে। এরপর খোঁজাখুঁজি করে আরেকজনের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকেই উদ্ধার করে।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউছার আলম তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান বলেন, বজ্রপাতে একজন এবং পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু ঘটেছে।