বৃহস্পতিবার (১২সেপ্টেম্বর) বিকেলে ৪টা দিকে মোল্লাহাট উপজেলার গিরিশনগর খেয়া ঘাটে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হন মো. হাফিজুর রহমান।
নিখোঁজ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাফিজুর রহমান মোল্লাহাট উপজেলার কদমতলা গ্রামের মৃত আব্দুল হাই শেখের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিশুর বরাত দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মো. হাফিজুর রহমানের মেয়ে ফারহান ইসরাত শাওন বলেন, বাড়ির সামনে মধুমতি নদীতে আব্বু গোসল করতে যায়। পানির স্রোতে ভেসে যায়, তখন কাছেই ছিলেন নৌকা ও মাঝি, ওই মাঝিকে শিশুরা বলছিল স্রোতে ভেসে যাওয়া লোককে নৌকায় তুলতে, কিন্তু মাঝি তাকে উদ্ধার করেনি। এরপর শিশুরা একসাথে সাঁতরে এগোচ্ছিল, তখন সামনে বেশি স্রোতে তারাও ভেসে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় কুলে ফিরে আসে এবং ডাক চিৎকার করে। ততক্ষণে ভেসে যায় আব্বু। তখন নাকি শেষবারের মতো হাত তুলে উদ্ধারের ইশারা করে তলিয়ে যায়।এ ঘটনায় শিশুরা ওই মাঝির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রশাসন ও ডুবুরিদের মাধ্যমে আমি আমার বাবার সন্ধান চাই।
মোল্লাহাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার শরিফ আমিনুল ইসলাম বলেন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাফিজুর রহমান মধুমতি নদীতে গোসল করতে নেমে স্রোতে ডুবে যায় এমন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। এছাড়া খুলনা থেকে অভিজ্ঞ ডুবুরিরা দলের সহযোগিতায় নদীতে তল্লাশি কাজ করা হয়। এখন ও (শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত) কোনো সন্ধান মেলেনি বলে জানান ওই কর্মকর্তা।