মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা’ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, আজ ছিল আইনশৃঙ্খলা উপদেষ্টা কমিটির দ্বিতীয় সভা। বেলা ১১টায় এই বৈঠক শুরু হয়েছে। আসন্ন দুর্গাপূজা যাতে নির্বিঘ্ন হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি, এ বারের পূজা সবচেয়ে নির্বিঘ্ন হবে, সবচেয়ে ভালো হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আশুলিয়ায় শিল্পকারখানায় যে ঝামেলা চলছে, তা নিয়েও কথা বলেছি। অস্ত্র উদ্ধার অভিযান ও মাদক ব্যবহারের রোধ নিয়েও বিস্তারিত কথা বলেছি। মিয়ানমার সীমান্ত নিয়েও আমরা কথা বলেছি।
কতজন পুলিশ এখনো কাজে যোগ দেয়নি, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ১৮৭ জনের মতো ছিল। এর পরে মনে হয় আর কেউ যোগদান করেননি। যারা যোগ দেননি, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তাদের আমরা পুলিশ বলব না, তারা অপরাধী হিসেবে গণ্য হবে।
দুই মাসের মধ্যে পুলিশ বাহিনী সংস্কার করা হবে নিয়ে এক উপদেষ্টা বলেছিলেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশ সংস্কারের কাজ ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়ার কথা। সংস্কারের কাজটা আমি করছি না, এ জন্য আলাদা কমিটি করে দেয়া হয়েছে। ওই কমিটি কাজটি করবে। তারা আমাদের কাছে প্রতিবেদন দেবেন, সেই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সংস্কার হবে।
পূজা নির্বিঘ্ন করতে যা যা পদক্ষেপ নেয়ার, সবই নেব। আশা করবো, এবারের পূজা আগের বারের চেয়ে অনেক ভালো হবে। এ জন্য সবার সাহায্য ও সহযোগিতা দরকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি যেটা হয়েছে, সেটা সন্তোষজনক। যত দিন যাবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
তিনি বলেন, ‘এছাড়া বিভিন্ন মাজার ও দরগায় কীভাবে নিরাপত্তা দেয়া যায়, তা নিয়ে বৈঠকে আমরা আলোচনা করেছি। বিশেষ করে গার্মেন্টসখাত নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’
পূজার ছুটি তিনদিন করার দাবি নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা; জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের এখানে কোনো আলোচনা হয়নি। এমনকি পূজার তিনদিন ছুটি করা নিয়ে আমি কোনোদিন বলিনি। এটা আমার পারভিউয়ের (আওতায়) মধ্যে পড়ে না।’
পার্বত্য চট্টগ্রামের ঝামেলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি হওয়ার পরে ইউপিডিএফ হাতিয়ার সমর্পণ করেনি। জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) কেবল হাতিয়ার সমর্পণ করেছিল। ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঝামেলা আছে। অন্যান্য যারা আছে, তাদের মধ্যেও ঝামেলা আছে। তারা সবাই মিলেমিশে কীভাবে থাকতে পারে, সেটা নিয়ে ব্যবস্থা করতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেক সময় তারা বাইরে থেকেও কিছু অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। ওটা যাতে না পায়, সেটার একটা ব্যবস্থা করতে হবে।