
ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।
পুলিশ সুপার জানান, গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি বাসে মির্জাপুর এলাকায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় নারী যাত্রীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার লুণ্ঠিত হয় এবং তাদের শ্লীলতাহানি করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এসব কথা জানান।
ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ডাকাত দল নারী যাত্রীদের কাছ থেকে নাকফুল ও কানের দুল লুণ্ঠন করে। এ সময় তারা নারীদের শারীরিকভাবে টাচ করে, যা শ্লীলতাহানির শামিল। পরে যাত্রীরা বাসটি আটকে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের সহায়তা চান। বাসযাত্রীদের হাতে আটক বাসচালক বাবলু, সুপারভাইজার মাহবুব ও হেলপার সুমনকে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাদেরকে ৫৪ ধারায় আদালতে তোলা হলে তারা জামিনে মুক্তি পান।
গ্রেপ্তারকৃত তিনজন হলেন— মো. শহিদুল ইসলাম (২৯), মো. সবুজ (৩০) ও মো. শরীফুজ্জামান (২৮)। পুলিশ সুপার জানান, সাভাবের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, একটি ছুরি ও ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়। তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন সোর্স ব্যবহার করে মামলা হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। তাদেরকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে বাসের যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় অজ্ঞাত ৮-৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, "ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বিচারিক প্রক্রিয়া চলমান।"