খাগড়াছড়ি জিপ গাড়ির সমিতির লাইনম্যান মো. ইয়াছিন আরাফত জানান, খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ১১৫টি জীপ গাড়ি ও ৫০ থেকে ৫৫টির মতো সিএনজি মাহেন্দ্র করে সাজেক প্রবেশ করে। যেখানে প্রায় ৮ শতাধিক পর্যটক ছিল।
তিনি আরও বলেন, অবরোধের কারণে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে ইউপিডিএফ। শুনেছি বেইলি ব্রীজগুলোর পটাতন খুলে নেয়া হয়েছে। এমন অবস্থায় পর্যটকদের ও গাড়ির নিরাপত্তার কথা বিবেচনা সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাজেক থেকে কোন গাড়ি ছেড়ে আনেনি এবং প্রবেশ করেনি।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মন জানান, অবরোধের কারণে সাজেকে ৮ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে। পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত তারা সোখানে অবস্থান করবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে পর্যটকরা ফিরে যাবেন।
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার বলেন, অবরোধের কারণে ঝুঁকি থাকায় কোনো গাড়ি আজ (শনিবার) ছাড়া হয়নি। সাজেক পর্যটক আটকা আছেন। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে পরিবর্তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ি জেলা সদরে মোটরসাইকেল চুরির একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার পিটুনিতে মো. মামুন নামে এক যুবক প্রাণ হারান। এতে দিঘীনালায় সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আর খাগড়াছড়ির সহিংসতার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হলে সেই মিছিলে হামলার অভিযোগে পাহাড়ি ও বাঙ্গালীদের মধ্যে সহিংসতার সূত্রপাত হয়। পরে সেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে পুরো শহরে।সাজেকে আটকা পড়েছে প্রায় ৮ শতাধিক পর্যটক