নিহত নজরুল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার মোগলবাসা গ্রামের জবের শেখের ছেলে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের পোলশাইর গ্রামের পাণ্ডের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মাহুত নজরুল ইসলাম হাতিটি নিয়ে কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের পোলশাইর গ্রামের মন্মথ পান্ডের বাড়িতে যায়। বাড়ির দরজার সিঁড়িতে একটি টিফিন ক্যারিয়ার বাটিতে খাবার রাখা ছিল। টিফিন ক্যারিয়ারের বাটিটি হাতি শুঁড় দিয়ে ওঠানোর চেষ্টা করে। এ সময় মাহুত নজরুল ইসলাম তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে হাতিটির শুঁড়ে জোরে আঘাত করে। এতে হাতিটি ক্ষিপ্ত হয়ে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে নজরুলকে পিঠ থেকে ফেলে দাঁত দিয়ে পেট, পিঠ ও উরুতে ছিদ্র করে। পরে পায়ের নিচে নজরুলকে পিষ্ট করে হাতিটি। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় মাহুত নজরুলের।
গোপালগঞ্জ বন বিভাগের জেলা বন কর্মকর্তা বিবেকানন্দ মল্লিক বলেন, পশু ডাক্তারসহ একটি প্রশিক্ষিত টিম হাতিটিকে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে গাজীপুর থেকে রওনা হয়েছে।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিহতের স্বজনরা খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম থেকে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। নজরুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে তার লাশ বুঝে দেয়া হবে।
কোটালীপাড়া থানার এসআই জাকির হোসেন জানান, বর্তমানে হাতিটি কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের লাকিরপাড় এলাকায় নজরুল ইসলামের সহকারী হাসান হাতিটির পিঠে বসে নিয়ন্ত্রণ করছে। হাতিটি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন।