
ইলিশ মাছের গোনাডের হিস্টোলজিক্যাল বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায়, সাধারণত ১+ বৎসর বয়সে ইলিশ মাছ পরিপক্বতা লাভ করে। তবে আবহাওয়ার তারতম্য ও অন্যান্য কারণে অনেক সময় ৮-১০ মাস বয়সেও ইলিশ মাছ পরিপক্ব হতে পারে। এর আগপর্যন্ত যেসব ইলিশ ধরা পড়ে তার মধ্যে স্ত্রী এবং পুরুষের আনুপাতিক হারে খুব বেশি পার্থক্য থাকে না। তাহলে পরবর্তী সময়ে পুরুষ ইলিশ কেন এত দুর্লভ হয়ে ওঠে?
ইলিশ হলো মাছের মধ্যে উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণ! তাকে কিন্তু সব জায়গায় দেখা যায় না। নদীতে ধরা পড়লেও সব নদীতে কিন্তু সমানভাবে পাওয়া যায় না। ইলিশ এখন বিরল না হলেও এই মাছ নিয়ে বহু রহস্য আছে! এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় রহস্য হলো ‘পুরুষ ইলিশ’। শুরুতে ইলিশের মধ্যে স্ত্রী এবং পুরুষের আনুপাতিক হার প্রায় সমানই থাকে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো: একটা বয়সের পর এই পুরুষগুলো স্ত্রী হয়ে যায় কি না, সেই রহস্যটা এখনও গবেষণার পর্যায়ে আছে।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, স্থান-কাল-আকার ও প্রজাতিভেদে পুরুষ-স্ত্রী ইলিশ মাছের আনুপাতিক হার ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। জাটকা বা কিশোর বয়সে স্ত্রী-পুরুষ মাছের আনুপাতিক হার প্রায় সমান থাকে। এই হার ২৮-৩০ সে.মি. পর্যন্ত একইরকম থাকে। অতঃপর স্ত্রী মাছের আনুপাতিক হার বৃদ্ধি পায় এবং ৪৪ সে.মি.-এর ঊর্ধ্ব আকারের সব মাছই স্ত্রী।