দেশ

দীর্ঘ ১৬ বছর পর কক্সবাজারে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের মধ্য দিয়ে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক প্রোগ্রাম সচল করে জামায়াতে ইসলামী। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দেশ সংস্কারের উদ্যোগের ফাঁকে সারাদেশে দলীয় ভিত্তি মজবুত করতে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা হতে পাথুরিয়া চষে বেড়াচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে কমিটি গঠন বা স্বজন সমাবেশ করে নিজেদের প্রতি জনসমর্থন গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল জামায়াত-শিবির।

দীর্ঘ ১৬ বছর পর কক্সবাজার সরকারি কলেজ মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন করছে।

শনিবার সকাল ৯টার দিকে জামায়াতে ইসলামীর কক্সবাজার জেলা শাখার আয়োজনে এ সম্মেলন শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ২০০৮ সালে আনুষ্ঠানিক সাংগঠনিক সফরে কক্সবাজার এসেছিলেন জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী। সেসময় নির্বাচন সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোট। এরপর ধীরে ধীরে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়ে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে অভিযুক্ত হয়ে ২০১০ সালে গ্রেফতার ও পরবর্তী রায়ে মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি আলী আহছান মুহাম্মদ মুজাহিদসহ পুরোনো অনেক নেতার ফাঁসি হলে বন্ধ হয়ে যায় জামায়াতের প্রকাশ্যে রাজনৈতিক প্রোগ্রাম। তবে ম্যান টু ম্যান সাংগঠনিক যোগাযোগ সবসময় সচল রাখে দক্ষ নেতৃত্ব।

এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সম্মেলন ঘিরে আজ সকাল থেকেই আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা।

দীর্ঘদিন পর সম্মেলন পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছেন সবাই। কর্মী সম্মেলন ঘিরে রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণে সেজেছে পুরো কক্সবাজার ।

কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর কক্সবাজারে প্রকাশ্য কর্মী সম্মেলন শুরু হয়েছে। এতে উচ্ছ্বসিত কর্মীরা। সকাল ৯টার দিকে সম্মেলন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার প্রত্যেক উপজেলা-ইউনিয়ন-ওয়ার্ড-ইউনিট নেতাকর্মী আসতে শুরু করেছে। আজকের সম্মেলন প্রায় লাক্ষাদিক  নেতাকর্মীর সমাগম হবে ইনশাআল্লাহ।

এ ছাড়া মেডিকেল টিম, অ্যাম্বুলেন্স, টেকনিক্যাল টিমসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এবারের কর্মী সম্মেলনে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অংশগ্রহণ করবেন। তবে নারীরা কলেজের মাঠে নয়, তার বিপরীতের অবস্থিত ইলিয়াস মিয়া চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বসবেন।