দেশ

মধ্যরাতে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ১৫-২০টি গাড়িতে ডাকাতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাবনার সাঁথিয়ায় শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে বাস, ট্রাকসহ অন্তত ১৫-২০টি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মধ্যরাতে ঘটিত এই ভয়াবহ ডাকাতি ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন বিভিন্ন গাড়ির যাত্রীরা, যারা মারধরের শিকার হয়ে তাদের মূল্যবান সামগ্রী হারিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত দুইটার দিকে সাঁথিয়া উপজেলার ছেঁচানিয়া ও তলটের মাঝামাঝি ব্রিজের পাশে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রথমে একটি মালবাহী ট্রাক আটকে রাখে ডাকাতরা। এর পরপরই বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোসহ প্রায় ১৫-২০টি গাড়ি আটকে পড়ে। এ সময় ৩০ থেকে ৪০ জন ডাকাত হাসুয়া, রামদা, ছুরি, চাকু ও বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে গাড়িতে ডাকাতি করে।

এ সময় গাড়ির গেট খুলতে দেরি হওয়ায় কয়েকটি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুরও করা হয়। ডাকাতরা যাত্রীদের মারধর করে তাদের মোবাইল, টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুটে নেয়। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই তাণ্ডব চলে।

ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে ইসলামী বক্তা আব্দুস সালাম ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় বলেন, “ডাকাতরা আমাদের গাড়িতে আক্রমণ করে, ড্রাইভারকে গলা ও পেটে চাকু ধরে। আমরা বলেছি, 'যা আছে সব নেন, কিন্তু কাউকে আঘাত করবেন না।' আমাদের গাড়িতে কাউকে আঘাত করা হয়নি, তবে কিছু মোবাইল ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরো জানান, একটি মাইক্রোবাসে দেশে ফিরছিলেন এক প্রবাসী, যাকে মারধর করে সব লুটে নেয় ডাকাতরা।

এদিকে, স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দেড় ঘণ্টা ধরে চলা ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারা থানায় ফোন করেও কোনো সাড়া পাননি। স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে রাত কাটানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও, তারা অভিযোগ করে বলেন, যদি পুলিশ শুরুতে আসত তাহলে এত বড় ডাকাতির ঘটনা ঘটতো না।

এ প্রসঙ্গে সাঁথিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, "কয়েকটি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়ার পর রাতেই পুলিশ পাঠানো হয়। গত রাতে বৈষম্যবিরোধী নেতৃবৃন্দ ঢাকা থেকে আসছিলেন, তাই বাড়তি টহল দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

এ ঘটনার পর স্থানীয়রা সাঁথিয়া থানার ওসির দ্রুত অপসারণ এবং শাস্তির দাবি করেছেন।