আদালতের মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানিতে ইমপোর্ট পারমিশন বা আইপি দেয়া বাতিল করে উন্মুক্ত আইপি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান আমদানিকারকরা।
এ সময় আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের নেতারা বলেন, সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় সাড়ে ৪ মাস বন্ধ থাকার পর চলতি অর্থবছরের ১৪ আগস্ট থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। কিন্তু সম্প্রতি আদালতের মাধ্যমে রিট করে পেঁয়াজ আমদানির আইপি দেয়া হয়েছে। এতে মাত্র কয়েকজন হাতে জিম্মি হয়ে পড়বে পেঁয়াজ আমদানি কার্যক্রম। এমনকি এর প্রভাব পড়বে পেঁয়াজের বাজারে।
লিখিত বক্তব্যে আমদানিকারকরা বলেন, আগস্টে কয়েকজন আমদানিকারককে ৫০ মেট্রিক টন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। মাত্র দুদিন পরেই আবারও অনুমতি দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে পরবর্তীতে একটি সিন্ডিকেট আদালতের আদেশের মাধ্যমে আইপি নিয়েছে। তবে এটি অব্যাহত থাকলে পেঁয়াজের বাজার ওই সিন্ডিকেটের হাতে চলে যাবে। আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি বাড়লে দাম ৪০ টাকার মধ্যেই চলে আসবে।
আমদানিকারকরা দাবি করেন, আদালতের মাধ্যমে কয়েকজনকে আইপি দিলে সরকারের আমদানির উদ্দেশ্য সফল হবে না। উল্টোদিকে, আইপি উন্মুক্ত করলে সকল আমদানিকারকরা পেঁয়াজ নিয়ে আসতে পারবে এবং বাজারে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ সরবরাহ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি একরামুল হক, সাধারণ সম্পাদক আরিফ উদ্দিন ইতিসহ অন্যান্য আমদানিকারকরা উপস্থিত ছিলেন। চলতি অর্থবছরে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গত ১৪ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ১৭৮ জন আমদানিকারক ৫ হাজার ২৫২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন।