পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, ‘নির্বাচনে যাওয়ার জন্য এই সরকার কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের একটি মাস নির্ধারণ করা হয়েছে, তাতেই হয়তোবা নির্বাচন হবে। সুতরাং দয়া করে আপনারা এই সরকারকে সহায়তা করুন, যেন আমরা নির্বাচনটি ভালোভাবে করে দিয়ে এই দেশকে গণতন্ত্র ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ উপহার দিতে পারি। এই দেশের মানুষের মূল্যবোধ ও আর্থিক সক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারি।’
শনিবার বিকালে রাঙামাটির মোনঘর মঠে আয়োজিত প্রথম সম্মিলিত জাতীয় কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রবারণা পূর্ণিমা। দিবসটি উপলক্ষে আগামী বছর থেকে একদিনের সরকারি ছুটির দাবি জানাচ্ছি।’
‘এবার আমরা প্রথমবারের মতো এই “জাতীয় কঠিন চীবর দান” অনুষ্ঠান আয়োজন করলাম। আমি আশা করি, আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এর মাধ্যমেই পাহাড় ও সমতলের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরও দৃঢ় হবে।’
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এ ছাড়া বক্তব্য দেন– রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন মোনঘরের সভাপতি ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের।
অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে প্রায় তিন শতাধিক ভান্তে এই চিবর দান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পঞ্চশীল প্রার্থনা শেষে চীবর উৎসর্গ করা হয় এবং অনুষ্ঠানে আগত ভিক্ষু সংঘের হাতে চীবর তুলে দেন অতিথি ও পুণ্যার্থীরা।