দেশ

বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত হলে সে হয়তো পৃথিবী থেকে বিদায় নিত না: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘যখন শহীদকন্যার (লামিয়া) ওপর অত্যাচার এবং নির্যাতনের হুমকি আসছিল, তখন সে শুধু ন্যায়ের জন্য বিচার চেয়েছিল। যদি তখন বিচারের প্রক্রিয়া তরান্বিত করা যেত, তাহলে হয়তো সে আজ জীবিত থাকত।’

রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদকন্যার জানাজায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আরও বলেন, ‘এই মৃত্যুর মাধ্যমে গোটা জাতির সামনে একটি প্রশ্ন উঠে এসেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ৫ আগস্টের বিপ্লব হয়েছিল। গণতন্ত্র মানেই আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। মানুষ ন্যায় বিচারের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়। যদি আদালতেই ন্যায় বিচার না মেলে, তাহলে সেই সমাজে নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে আসে।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতনের পরও কেন এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে? একটি আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের জন্য আবু সাইদ, মুগ্ধরা জীবন দিয়েছেন। যে রাষ্ট্রে প্রতিটি নারী ও শিশু নিরাপদে চলাফেরা করতে পারবে, স্বাধীনভাবে স্কুলে যেতে পারবে, বসবাস করতে পারবে। আর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমরা উন্মুখ হয়ে আছি। যে বাংলাদেশ হবে শান্তি ও সস্তির দেশ, যেখানে প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।’

জানাজায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসানাত মোহাম্মদ আরেফীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রশিদ চুন্নু মিয়া, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিমসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতারা।