প্রতিনিধির পাঠানো ছবি।

 
দেশ

৩০ মিনিট মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা দিনমজুর রুবেল জীবিত উদ্ধার

চারতলা ভবন নির্মাণের জন্য বেইজমেন্ট-এ ১১ফিট গভীর ও ২০ ফিট চওড়া একটি হাউজ খুঁড়তে গিয়ে উপর থেকে মাটি ভেঙে চাপা পড়ে যায় দিন মজুর রুবেল।

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফরিদপুরে একটি নির্মাণাধীন ভবনের বেইজমেন্ট খুঁড়ার কাজ করতে গিয়ে মাটির নিচে চাপা পড়ে এক শ্রমিক প্রায় ৩০ মিনিট পর জীবিত উদ্ধার হয়েছে।  

স্থানীয় জনতা ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে রুবেল শেখ নামের ওই শ্রমিককে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে। কিছুক্ষণ পর তার জ্ঞান ফিরে আসলে উপস্থিত সকলেই হইচই করে আনন্দ প্রকাশ করে।

ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের শ্রীরামপুর গ্রামের দিনমজুর মাহফুজার শেখের ছেলে রুবেল শেখ।

স্থানীয় মোশাররফ হোসেনের চারতলা ভবন নির্মাণের জন্য বেইজমেন্ট-এ ১১ফিট গভীর ও ২০ ফিট চওড়া একটি হাউজ খুঁড়তে গিয়ে উপর থেকে মাটি ভেঙে চাপা পড়ে যায় দিন মজুর রুবেল। পাশে থাকা বাবা মাফুজার ও অন্য শ্রমিকরা চিৎকার দিয়ে মানুষ জড়ো করে সকলে মিলে রুবেল কে উদ্ধার এর জন্য চেষ্টা করে।

কোদাল দিয়ে কিছু সময়  মাটি তোলার পর  রুবেলের হাতের আঙ্গুল দেখতে পায়। দীর্ঘ ৩০ মিনিট মাটি খুঁড়ার পর তাকে জীবিত  উদ্ধার করার চেষ্টা  সফল হয়, এ সময় রুবেল অজ্ঞান ছিল ও হাতের আঙ্গুলে কোদালের কোপ লেগে আহত হয়।

ভবন মালিক মোশারফ হোসেন বলেন দুর্ঘটনার পরই আমি ফায়ার সার্ভিসে ফোন করি। তারাও এসেছিল। আমরা রুবেলকে আলফাডাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করেছি। সে এখন সুস্থ আছে।

রুবেলের মা রত্না বেগম এই প্রতিবেদক কে জানান আমার ছেলে ও স্বামী  দৈনিক ৫০০টাকা হাজিরায় মোশাররফ হোসেনের বাড়ীতে কাজে যায়। আমি লোকজনের চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখি আমার ছেলে কে দেখা যায় না সবাই মাটি খুঁড়তেছে। তাই দেখে আমি কান্নাকাটি  করতে থাকি। অনেক সময় পর আমার বাবারে তার উঠাতে পারছে। আমার বাবার জীবন আল্লাহ ভিক্ষা দিছে।

আলফাডাঙ্গা সরকারি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আবিদ হাসান এই প্রতিবেদক-কে বলেন, সকালে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন রুবেল নামে একজনকে নিয়ে আসে। আমরা তাকে চিকিৎসা দিয়েছি। সে এখন সুস্থ এবং শংকা মুক্ত আছে।