দেশ

গতি পাচ্ছে আন্দোলন; রাতে তিস্তাপাড়ে ১১ স্পটে লাখো মশাল প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারত ও বাংলাদেশের অভিন্ন নদী তিস্তার পানি ন্যায্য বন্টণের দাবীতে নদীর পাড়ে উন্মূক্ত স্থানে ডাকা আন্দোলনে স্বতস্ফূর্তভাবে যোগ দিয়েছে ওই এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দা। নদীর চারপাশের জনপদে বসবাস করা কৃষক, মুটে-মজুর, জেলেসহ সকলের যেনো এটি এক প্রাণের দাবী।

সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার তিস্তা তীরবর্তী ১১টি স্থানে আন্দোলনকারীরা ৪৮ ঘণ্টা ধরে লাগাতার অবস্থান করবে। আন্দোলনকারীরা এসময় তিস্তা নদীর পানি বন্টণ নিয়ে বৈষম্যের কথা বিশ্ববাসীকে জানাতে রাতে লাখো মশাল জ্বালাবে। এ ছাড়া রয়েছে নানা কর্মসূচি।

‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’ নামের ব্যনারে আয়োজিত এ আন্দোলন থেকে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি করে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচির চলছে নদীর পাড়ে।

সোমবার আন্দোলনের প্রথমদিন দেশের সর্ব বৃহৎ এই শেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় শুরু হওয়া ওই কর্মসূচিকে বাস্তবায়ন করতে নদীর বুকে মঞ্চ তৈরিসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ওই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য হাসান রাজীব প্রধান বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার লোকজন আসছে। আমাদের কর্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, এই আন্দোলনকে গতি দিয়েছে স্থানীয়রা।